তাজা খবর:

শেখ হাসিনাকে থামান, ফের দিল্লিকে ঢাকার বার্তা ধানমন্ডির ৩২ নম্বর বাড়িতে ভাঙচুরের ইস্যুতে অন্তর্র্বতী সরকারের বিবৃতি হাসিনাবিরোধী স্লোগানে উত্তাল ধানমন্ডি ৩২ হাসিনার সুধা সদন পুরোটাই ধ্বংসস্তূপ, মালামাল নিয়ে যাচ্ছে জনতা সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক ও তার ছেলের ২৮ ব্যাংক হিসাব ফ্রিজ খুলনার শেখ বাড়ি ধংসস্তুপ, বিভিন্ন স্থানে শেখ মুজিবের ম্যুরাল ভাঙচুর হাসিনা, তুমি ভুল প্রজন্মের সাথে পাঙ্গা নিয়েছো: হাসনাত Thursday, 6 February, 2025, at 7:24 PM

ENGLISH

রাজধানী

ঢাকা এখন অভিশপ্ত নগরী

নিজস্ব প্রতিবেদক :

প্রকাশ : 05 জানুয়ারি 2025, রবিবার, সময় : 14:52, পঠিত 293 বার

ঢাকা এখন অভিশপ্ত নগরী

রাজধানী ঢাকা ক্রমান্বয়ে মানুষের বসবাসের অনুপোযোগী হয়ে পড়ছে। এক সময়ের মসজিদের শহর ঢাকা এখন পরিবেশ দূষণ, শব্দদূষণ, যানজট ও ময়লার শহরে পরিণত হয়েছে। চতুর্দিকে নদী বেষ্টিত ঢাকায় এক সময় বিদেশী বণিকেরা আসতেন। শহর ছিল পরিচ্ছন্ন, নদী, নালা-খাল-বিল ও বনায়নে ভরপুর। এই শহর এখন অভিশপ্ত নগরীতে পরিণত হয়েছে। প্রায় আড়াই কোটি মানুষের বসবাস এই শহরে ঘর থেকে বের হলেই ভোগান্তি। লক্কড়ঝক্কড় বাস। যেখানে-সেখানে পার্কিং করে যাত্রী উঠানামা হচ্ছে। সবখানেই বিশৃংখল পরিবেশ। দেখার যেন কেউ নেই। নগরের উন্নয়নে সিটি কর্পোরশেনকে দুই ভাগে বিভক্ত করা হয়েছে। অথচ নাগরিক সেবার বালাই নেই। হাতে গোটা কয়েকটি জায়গা ছাড়া সবুজ তথা গাছ-গাছালি চোখে পড়ে না। কংক্রিটের শহরে যে তালে বহুতল ভবন নির্মাণের প্রতিযোগিতা হচ্ছে সেই পরিবেশ বিনষ্টের প্রক্রিয়া চলছে। যত্রতত্র ময়লার ভাগাড় শহরে এখন চিরচেনা দৃশ্য হয়ে গেছে। সড়কের দৃশ্য দেখলেই মনে হয় এটা রাজধানী শহর নয়, ডাম্পিং স্টেশন।
৫০ বছর আগেও রাজধানী ঢাকায় ছিল সবুজের সমারোহ। সেই সবুজ এখন আর নেই। ছিল অসংখ্য খাল-নালা-জলাশয়। ১৯৯২ সালেও এ শহরের ৯২ বর্গকিলোমিটারের বেশি এলাকা ছিল সবুজ। ২০২২ সালে এর পরিমাণ কমে হয় ৩১ কিলোমিটারের কিছু বেশি। আসলে ঢাকা অপরিকল্পিতভাবে বিকশিত হওয়ায় এ নগরী থেকে শুধু সবুজই বিদায় নেয়নি, একইসঙ্গে ভরাট হয়ে গেছে খাল-নালা-জলাশয়ও। নগরীর চারদিকে গড়ে উঠেছে কংক্রিটের বিল্ডিং। আড়াই কোটিরও বেশি মানুষের চাপ, শত শত নোংরা পরিবেশে মানবেতর জীবন নিয়ে ঠিকানা গেড়েছে অসংখ্য মানুষ। ফলে নগরী দূষণে ভরে উঠছে অস্বাভাবিক মাত্রায়। ঢাকার বায়ুদূষণের মাত্রা উদ্বেগজনক অবস্থায় পৌঁছেছে। শহরের সব ফুটপাত হকারের দখলে; পায়ে হাঁটার পথ নেই। এ যেন এক অভিশপ্ত নগরীতে বসবাস। এছাড়াও রাজধানীবাসীর দুর্ভোগের শেষ নেই। ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের বেশির ভাগ সড়কই এখন ভাঙাচোরা। একদিকে খানাখন্দ অন্যদিকে এবড়োখেবড়ো। বেশ কিছু এলাকায় সড়কের অবস্থা একেবারেই বেহাল। আর বিভিন্ন স্থানে সড়ক খোঁড়াখুঁড়ি তো চলছেই। অপরিকল্পিত খোঁড়াখুঁড়িতে নগরবাসীর ভোগান্তি যেন ছাড়ছে না। এছাড়া কিছু উন্নয়ন প্রকল্পের ধীরগতির কারণে জনভোগান্তি চরমে উঠেছে। সিটি করপোরেশন, মেট্রোরেল, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণ, ওয়াসা, তিতাস, ডেসকোসহ সবাই মিলে প্রতিদিনই কোনো না কোনো সড়ক, অলিগলি খুঁড়ছে। বৃষ্টি হলে অবস্থা আরো নাজুক; সামান্য বৃষ্টিতেই সৃষ্টি হচ্ছে তীব্র পানিবদ্ধতা। এতে অভাবনীয় মাত্রায় দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে নগরবাসীকে। বর্ষাকালে রাজধানীবাসীকে ভুগতে হয় পানিবদ্ধতায় আর শুষ্ক মৌসুমে পোহাতে হয় ধূলোর দুর্ভোগ। উন্নয়নমূলক কাজের পাশাপাশি শুষ্ক মৌসুমে ঢাকা মহানগরীতে ধূলা দূষণের প্রকোপ অত্যন্ত বেড়ে যায়। বর্তমানে রাজধানীতে চলমান বিভিন্ন উন্নয়নমূলক নির্মাণ কাজের কারণে ধূলোর দুর্ভোগ অনেক বেশি পোহাতে হচ্ছে নগরবাসীকে। রাজধানীর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়কে দীর্ঘদিন ধরে রাতে জ্বলে না অনেক বাতি। ফলে সন্ধ্যা নামলেই অন্ধকারাচ্ছন্ন সড়কে চলতে গিয়ে স্থানীয় বাসিন্দা ও পথচারীদের নানান সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে। এ ছাড়া অন্ধকার পরিবেশের কারণে বেড়েছে অপরাধ ও দুর্ঘটনার ঝুঁকিও। মশক নিধন কর্মসূচিতে ভাটা। ফলে মশার উপদ্রব বেড়ে গেছে। তারপর ড্রেনেজ ব্যবস্থার আরও অবনতি হয়েছে।
নগরবাসী ভুক্তভোগীরা বলছেন, খানাখন্দে ভরা সড়কে পানি জমে থাকায় রিকশা উল্টে পড়ে। হঠাৎ গাড়ি বন্ধ হয়ে সৃষ্টি হচ্ছে তীব্র যানজট। প্রতিদিন ডুবে থাকা গর্তে পড়ছে শিক্ষার্থী, নারী ও শিশুরা। রাস্তায় যানজট, ভাঙাচুরা, ময়লা-আবর্জনা, ফুটপাথ দখল করে দোকান, ধূলাবালি, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশাসহ নানা দুর্ভোগে বসবাস করতে হচ্ছে। এই শহর এখন আর আগের মতো নিরাপদ নয়। প্রতিনিয়তই ছিনতাইয়ের মতো ঘটনা ঘটছে। রাজধানী ঢাকার সড়কে প্রায়ই চোখে পড়ে লক্কড়ঝক্কড় বাস। মাঝেমধ্যেই নানা দুর্ঘটনার জন্ম দিয়ে আলোচনায় আসা এই বাসগুলোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার দায়িত্ব আসলে কার সে প্রশ্নই এখন উঠছে জোরেশোরে। মূলত সরকারের দুটি প্রতিষ্ঠান ঢাকার সড়কে যানবাহন চলাচলের সঙ্গে সরাসরি সম্পৃক্ত। একটি হলো বিআরটিএ আর অন্যটি হল পুলিশের ট্রাফিক বিভাগ। আবার রাস্তায় নামার পর ট্রাফিক বিভাগের সংশ্লিষ্টদের ভাঙাচোরা বা ফিটনেসহীন বাস জব্দ করার কথা থাকলেও সেটি খুব একটা দেখা যায় না। বরং ট্রাফিক পুলিশের সামনে দিয়েই লক্কড়ঝক্কড় বাসগুলো রাস্তা আটকে যাত্রী তুলছে, এমন চিত্রও প্রতিনিয়ত দেখা যায়। সংশ্লিষ্টরা ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা বলছেন, বছরের পর বছর এই খাতে বেপরোয়া বাস চালানো, চালকের অতিরিক্ত ট্রিপ, রুট মেনে না চলা, যেখানে সেখানে যাত্রী ওঠানো নামানো, ত্রুটিপূর্ণ যানবাহন, কর্তৃপক্ষের নজরদারি আর তদারকির অভাব, অদক্ষতাসহ বেশ কয়েকটি সমস্যা বিরাজমান থাকায় একের পর এক এ ধরনের দুর্ঘটনা ঘটেই চলেছে। প্রচলিত আইন বহাল হলেও তার শক্ত প্রয়োগ না থাকায় বাস্তবে পরিস্থিতির কোনো পরিবর্তন চোখে পড়ে না।
সড়ক দুর্ঘটনা ও গণপরিবহন বিষয়ক বিশেষজ্ঞ ও বুয়েটের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ হাদীউজ্জামান বলছেন, লক্কড়ঝক্কড় বাসকে ফিটনেস সনদ দিচ্ছে সরকারি প্রতিষ্ঠান বিআরটিএ আর সেই ফিটনেস সনদ নিয়ে এরা রাস্তায় নামছে সংশ্লিষ্ট অন্যদের নানাভাবে ম্যানেজ করে। সড়কে নৈরাজ্য, বিশৃঙ্খলা আর বায়ুদূষণের জন্য এ ভাঙাচোরা বাসগুলোই দায়ী। অনেক বাস এতোই ভাঙাচোরা যে দেখতেই খারাপ লাগে। অথচ এদের বিরুদ্ধে কেউ কোনও ব্যবস্থা নেয় না। এর দায়িত্ব সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোরই, যার মধ্যে বিআরটিএ গুরুত্বপূর্ণ। এটি তো মন্ত্রীরই অধীনে। মেট্রো রেল বা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের মতো বড় অবকাঠামোতে সরকার যতটা ঢাকার সড়ক ব্যবস্থাপনায় তা দেখা যায় না বলেই কেউ আইন মানে না। ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল আলম বলেন, মালিক, শ্রমিক, সমিতি, যাত্রী, বিআরটিএ ও আইন প্রয়োগকারী সংস্থা সবাই মিলে কাজ না করলে লক্কড়ঝক্কড় বাস ও বাসের নৈরাজ্যের অবসান হবে না। আইন প্রয়োগের দায়িত্ব যাদের তারা ভাঙা বাস জব্দ করে না কেন? তারা তো জব্দ করে বিআরটিএকে জানানোর কথা। বিআরটিএ এগুলো চলতে না দিলে তারা চলে কীভাবে? এদিকে, পথচারীদের জন্য তৈরি হলেও রাজধানীর ফুটপাতগুলোতে হেঁটে চলাই মুশকিল। পথচারীদের জন্য নির্ধারিত এই পথে হকাররা জুতা, কাপড়, ফলসহ নানা ধরনের দোকান দিয়ে বসেছেন। এতে চলাচলে বিঘ্ন ঘটছে এবং শহরের সৌন্দর্য ক্ষুণ্ন্ন হচ্ছে। কোথাও এসব দোকানে ফুটপাথ অর্ধেক দখলে আবার কোথাও গোটা ফুটপাথই দখল করে চলছে এসব ব্যবসা। বোঝাই যায় না যে, এখানে ফুটপাথ রয়েছে। ঢাকা শহরজুড়েই এমন চিত্র। হকার সমস্যা সমাধানে প্রয়োজন বায়োমেট্রিক আইডেন্টিফিকেশনের, এমনটাই জানালেন নগর পরিকল্পনাবিদরা রাজধানীতে ফুটপাথ দখল সব থেকে বেশি দেখা যায় গুলিস্তান, পল্টন, মতিঝিলসহ এর আশেপাশের এলাকায়। শহরের সৌন্দর্য তো পরের কথা, সাধারণ মানুষের পক্ষে এসব এলাকার ফুটপাথে নির্বিঘ্নে হাঁটা সম্ভব হচ্ছে না। ফুটপাথজুড়ে রয়েছেন ভ্রাম্যমাণ হকাররা। কোথাও কোথাও ফুটপাথ ছাড়িয়ে রাস্তায়ও চলে আসে এসব ভ্রাম্যমাণ হকারের দোকান। গুলিস্তান স্কয়ার থেকে গোলাপশাহ মাজার পর্যন্ত রাস্তাটি একমুখী যানচলাচলের জন্য ব্যবহার হয়। তবে রাস্তাটির বেশিরভাগ অংশই ভ্রাম্যমাণ হকারদের দখলে। ট্রাফিক পুলিশরা বলছেন, হকার উচ্ছেদের জন্য প্রতিদিন আমাদের ফোর্স আসে। প্রতিদিন আমরা ৩-৪ বার হকার উচ্ছেদ করি। আমাদের এই কার্যক্রম চলমান আছে। আমরা চেষ্টা করি, আইন প্রয়োগ করে হকার উচ্ছেদ করে এই জায়গাটা খালি রাখার। কখনো পারি, কখনো আবার পারি না। ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের এক কর্মকর্তা বলেন, সিটি করপোরেশনের কিন্তু নিজস্ব বাহিনী নেই, যেটা পুলিশের আছে। রাস্তা ও ফুটপাথ যেহেতু আমাদের তাই কেউ এসব দখল করলে আমরা কিন্তু উচ্ছেদ করে দিই। কিন্তু দেখা যায় সকালে উচ্ছেদ করলে দুপুরে হকাররা আবার বসে। এছাড়া বড় আকারেও যদি উচ্ছেদ করা হয় তাহলে কয়েকদিন তারা বসে না। কিন্তু পরবর্তীতে জীবিকার তাগিদে তারা আবারও চলে আসে। নগর পরিকল্পনাবিদ আদিল মুহাম্মদ খান বলেন, ফুটপাথ থেকে হকার মুক্ত করার জন্য বহু উদ্যোগই কিন্তু ছিল। কিন্তু খেয়াল করলে দেখা যায় কোনো উদ্যোগই কাজে আসেনি। তারা কিন্তু একটা চক্রকে প্রতিনিয়ত মাসোহারা দিয়ে কোনো না কোনো উপায়ে ব্যবসা পরিচালনা করছেন। এই চক্রের ইনকাম সোর্স হচ্ছেন এই হকাররা। আর প্রতিটা সমস্যার কিন্তু একটা রুট থাকে। আর এক্ষেত্রে যেসব চক্র হকারদের এসব জায়গায় বসাচ্ছে, তারা কিন্তু বড় একটা স্টেক হোল্ডার এই পুরো সিস্টেমের। অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায় রাজনৈতিকভাবেও নেগোসিয়েশন করা হয়। এই পুরো সিস্টেমকে যদি না ভাঙা যায়, তাহলে প্রতিবার হকারদের সরিয়ে দিলে কোনো লাভ হবে না। ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) প্রশাসক মো. নজরুল ইসলাম বলেন, নগরবাসীর ভোগান্তি লাঘব করা আমাদের অন্যতম লক্ষ্য। ইতোমধ্যে অনেকগুলো সড়কের খানাখন্দ ও বড় বড় গর্ত মেরামত করতে সক্ষম হয়েছি। মশক নিয়ন্ত্রণে দৈনন্দিন নিয়মিত কার্যক্রমের পাশাপাশি ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) ওয়ার্ডে বিশেষ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা ও মশক নিধন কার্যক্রম তথা চিরুনি অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) প্রশাসক মো. মাহমুদুল হাসান বলেন, ঢাকা শহরকে বাসযোগ্য ও নিরাপদ শহরে পরিণত করতে নানা ধরনের বর্জ্য সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনায় আনতে হবে। প্লাস্টিকের, পিলিথিনের ব্যবহার থেকে বিরত থাকতে হবে। যত্রতত্র ময়লা ফেলা বন্ধ করতে হবে। বর্জ্য পরিষ্কার ডিএনসিসির একটি নিয়মিত কাজের অংশ। প্রতিদিন আমাদের পরিচ্ছন্ন কর্মীরা রাস্তা, ফুটপাথ ও গৃহস্থালির বর্জ্য এবং খালের বর্জ্য অপসারণ করে। খাল পরিষ্কার কার্যক্রমের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। জ্ঞান ও অভিজ্ঞতা বিনিময় করে ঢাকা শহরে আধুনিক পরিবহন ব্যবস্থা গড়ে তোলা সম্ভব। পুরো ঢাকা শহরের পরিবহন ব্যবস্থার মহাপরিকল্পনা প্রণয়ন করা হবে। পুরো ঢাকা শহরের পরিবহন ব্যবস্থার আধুনিকায়নের লক্ষ্যে ডিএনসিসি অন্যান্য সংশ্লিষ্ট বিভাগের সাথেও সমন্বিতভাবে কার্যক্রম গ্রহণ করবে। শহরের যানজট নিরসনসহ আধুনিক পরিবহন ব্যবস্থা নিশ্চিতে ভূমিকা রাখবে। নতুনভাবে সংযুক্ত এলাকায় স্থায়ীভাবে টেকসই উন্নয়নের জন্য রাস্তা ও ড্রেনেজ নির্মাণের কাজ চলমান। রাস্তা ও ড্রেনেজের কাজগুলো করতে গিয়ে জনগণের কিছুটা ভোগান্তি হয়েছে। পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলন (পবা) বলেছে, রাজধানীতে ড্রেনের ময়লা আবর্জনা রাস্তার দু’পাশে দীর্ঘদিন ফেলে রাখা হয়। এ ছাড়া রাজধানীজুড়ে চলছে উন্নয়ন কাজ, ফলে যানবাহন চলাচলের সময় ধূলাবালি ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ায় ধূলা দূষণের মাত্রা অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে গেছে। ধূলা দূষণে শ্বাসকষ্ট, হাঁপানি, এলার্জি, চর্মরোগসহ নানা জটিল রোগ ব্যাধি দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে। ধূলা দূষণে জনদুর্ভোগের পাশাপাশি একদিকে যেমন স্বাস্থ্যগত সমস্যা হচ্ছে তেমনি আর্থিক ও পরিবেশেরও ক্ষতি হচ্ছে। জনস্বাস্থ্য, পরিবেশ ও অর্থনীতির ওপর নেতিবাচক প্রভাব বিবেচনায় অবিলম্বে ধূলা দূষণ বন্ধে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ জরুরি। বেসরকারি চাকরিজীবী এনামুল হক বলেন, একদিকে অতিরিক্ত যানজট, নানা নাগরিক ভোগান্তি এর ওপর নতুন করে যুক্ত হয়েছে ধূলোর দুর্ভোগ। রাজধানীতেই ধূলোর বিড়ম্বনা। রাস্তায় হেঁটে যাওয়ার সময় নাকে মাস্ক পরতে হয়। আর বাতাসে ধূলো ছড়িয়ে পড়ায় জামা কাপড়, চুল, ত্বকে ধূলোর প্রলেপ পড়ে যায়। এ ছাড়াও রয়েছে স্বাস্থ্যঝুঁকির বিষয়টিও। এসব দুর্ভোগ থেকে নগরবাসী কি নিস্তার পাবে না? সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষর উচিত নাগরিকদের এমন দুর্ভোগ লাঘবে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা।’

সকল প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।




রাজধানী পাতার আরও খবর

  • সর্বশেষ সংবাদ

    সর্বাধিক পঠিত

    সম্পাদক ও প্রকাশক: মোহাম্মদ নিজাম উদ্দিন জিটু

    সম্পাদকীয় ও বাণিজ্যিক কার্যালয় : প্ল্যানার্স টাওয়ার, ১০তলা, ১৩/এ বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, বাংলামটর, শাহবাগ, ঢাকা-১০০০, বাংলাদেশ।
    ফোন: +৮৮-০২-৪১০৬৪১১১, ৪১০৬৪১১২, ৪১০৬৪১১৩, ৪১০৬৪১১৪, ফ্যাক্স: +৮৮-০২-৯৬১১৬০৪, হটলাইন : +৮৮-০১৯২৬৬৬৭০০১-৩
    ই-মেইল : [email protected], [email protected] , Web : http://www.banglakhabor24.com