তাজা খবর: |
Monday, 17 March, 2025, at 11:14 PM | ENGLISH |
![]() |
|
শিক্ষাঅনির্দিষ্টকালীন বন্ধে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিস্থিতিচট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি:
প্রকাশ :
24 জুলাই 2024, বুধবার,
সময় :
21:35,
পঠিত 833 বার
![]() ইউজিসি এর প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়, “উপর্যুক্ত বিষয়ের পরিপ্রেক্ষিতে সদয় অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে যে, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের সিদ্ধান্ত মোতাবেক শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা বিষয় বিবেচনায় দেশের সকল পাবলিক ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় এবং বিশ্ববিদ্যালয় অভিভুক্ত মেডিকেল, টেক্সটাইল, এবং ইঞ্জিনিয়ারিং ও অন্যান্য কলেজ সহ সকল কলেজের শিক্ষা কার্যক্রম পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বন্ধ থাকবে। সাথে শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার স্বার্থে আবাশিক হল ত্যাগের নির্দেশ দিয়ে নিরাপদ আবাসস্থলে অবস্থানের নির্দেশ প্রদান করা হলো।” এদিকে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় সিনেট শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে নোটিস প্রদান করে জানান, “ আজ (১৭-০৭-২০২৪) সন্ধ্যা ৬ (ছয়) ঘটিকার মধ্যে সকল আবাসিক হলে ছাত্রীদেরকে হল ত্যাগের এবং রাত্রি ১০ (দশ) ঘটিকার মধ্যে সকল আবাসিক হলের ছাত্রদেরকে হল ত্যাগের নির্দেশ প্রদান করা হলো।” এরই পরিপ্রেক্ষিতে, শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়টির সকল হলের প্রভোস্টরা স্ব স্ব হলে উপস্থিত থেকে হলের সকল রুমগুলো সিলগালা করে দেন। তবে ছাত্রী হল সমূহে শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন কারণবশত উক্ত সময়ে হলত্যাগ করতে চায়নি এবং তাদেরকে জোর করা হলে খালেদা জিয়া হলের ছাত্রীরা জিম্মি করে প্রভোস্ট নাজনীন নাহার ইসলাম কে। পরে হলের গেট ও প্রভোস্ট কে তালাবদ্ধ করে তারা। পরে প্রক্টরিয়াল বডি সেখানে আসলে নিজেদের নিরাপত্তার জন্য ছাত্রীরা হল ত্যাগ করতে রাজি নয় বলে তারা প্রশাসনের নিকট জানান। পরবর্তীতে যে সকল শিক্ষার্থী এখনো বিভিন্ন কারণবসত হল ত্যাগ করতে পারেনি তাদের উদ্দেশ্য করে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক মোহাম্মদ অহিদুল আলম জানান, “শিক্ষার্থীদের কথা বিবেচনা করে উপাচার্যের বিশেষ ক্ষমতাবলে হল ত্যাগের সময়সীমা আগামীকাল বুধবার (১৭ জুলাই) সকাল ১০ টা পর্যন্ত বৃদ্ধি করা হয়েছে। এর মধ্যে সবাইকে হলত্যাগ করতে হবে। পাশাপাশি যারা ক্যাম্পাসের আশেপাশে এক কিলোমিটার এলাকাজুড়ে কটেজ কিংবা ভাড়া বাসায় থাকতেছেন তাদেরও চলে যেতে হবে। অন্যথায় পুলিশ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।” পরবর্তীতে পর দিন সকালে নারী শিক্ষার্থীদের সুবিধার্থে কয়েকটি দূর পাল্লার বাসের ব্যবস্থা করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। শিক্ষার্থীদের হল ত্যাগের বিষয়ে চবি উপাচার্য ড. আবু তাহের জানান, “শিক্ষার্থী বা কোনো ছাত্র সংগঠনের কর্মীদের হলে থাকার সুযোগ নেই। তবে যৌক্তিক কারণ দেখাতে পারলে সকাল পর্যন্ত হলে থাকতে পারবে।” বর্তমানে ক্যাম্পাসে স্বাভাবিক অবস্থা বিরাজ করছে।চলমান কারফিউ এর তেমন কোন প্রভাব ক্যাম্পাসে পড়েনি। ক্যাম্পাসের অভ্যন্তরে জনসাধারণের চলাফেরা স্বাভাবিক রয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল একাডেমিক কার্যক্রম বন্ধ থাকায় ক্যাম্পাসের অভ্যন্তরে অনেকটা জনশূন্যতা সৃষ্টি হয়েছে। তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা ও শান্তি শৃঙ্খলা রক্ষার জন্যে ক্যাম্পাসের অভ্যন্তরে বিভিন্ন জায়গায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে পাশাপাশি চবি শাখা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করে যাচ্ছে। এ বিষয়ে চবি শাখা ছাত্রলীগের সাবেক সহ সভাপতি শ্রী শিমুল বিশ্বাস গণকন্ঠ কে বলেন, “কোটা সংস্কার আন্দোলনের ভিতরে দুষ্কৃতকারী কারা ছিল এবং তাদের এজেন্ডা কি ছিল তা এখন জনগণের কাছে স্পষ্ট। বাংলাদেশ ছাত্রলীগ সবসময়ই কোটা সংস্কারের পক্ষে ছিল আছে এবং থাকবে। আমরা চাই মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশনেত্রী শেখ হাসিনার হাত ধরে এই নৈরাজ্য সৃষ্টি করেছে যারা তাদেরকে সুষ্ঠু বিচারের আওতায় আনা হোক। আমার বিশ্বাস বাংলাদেশের পরিস্থিতি বাংলাদেশের জনগণের পক্ষেই সবসময়ের মতো আওয়ামী লীগ সরকারের মাধ্যমেই থাকবে।” চবি শাখা ছাত্রলীগের সাবেক কার্যনির্বাহী সদস্য সাখাওয়াত হোসেন গণকন্ঠ কে বলেন, “আন্দোলনের সাধারণ শিক্ষার্থীদের সাথে আমাদের কোন সমস্যা নেই, কিন্তু সাধারণ শিক্ষার্থীদের সাথে মিশে ক্যাম্পাসের মধ্যে জামাত শিবির ও ছাত্রদল যদি বিশৃঙ্খল পরিবেশ সৃষ্টি করার চেষ্টা করে আমরা তা কঠোর হাতে দমন করব।”
সকল প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
শিক্ষা পাতার আরও খবর
|
সর্বশেষ সংবাদ
সর্বাধিক পঠিত
|
সম্পাদক ও প্রকাশক: মোহাম্মদ নিজাম উদ্দিন জিটুসম্পাদকীয় ও বাণিজ্যিক কার্যালয় : প্ল্যানার্স টাওয়ার, ১০তলা, ১৩/এ বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, বাংলামটর, শাহবাগ, ঢাকা-১০০০, বাংলাদেশ।
|